Monday, August 22, 2011

সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স

এই ধারনাটি ট্রেডিং করতে সর্বাপেক্ষা বেশী ব্যবহৃত হয়। সংক্ষেপে একে S/R বলে।

চিত্রটি দেখুন। আঁকা-বাঁকা লেখচিত্রটি উপরের দিকে যাচ্ছে (বুল মার্কেট)। যখন বাজার উপরে ওঠে এবং তারপর নীচে নামে; নামার আগে বাজার যে উচ্চতম বিন্দুতে গিয়েছিল সেটি এখন রেজিস্টেন্স। নীচে নামার পর বাজার আবার উঠছে। মার্কেট ওঠার আগে সর্বনিম্ন যে বিন্দুতে পৌছেছিল এখন সেটা সাপোর্ট।
মনে রাখবেন, সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়।


চিত্রটিতে দেখুন ইউরো/ডলার এর সাপোর্ট এগজ্যাক্টলি ১. ৪৭০০ এ নয়। এটি একটি রেঞ্জ বা অঞ্চল (যেমনটি দেখানো হয়েছে ইউরো/ডলার সাপোর্ট রেঞ্জ ১. ৪৬৯০-১.৪৭১০)। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স অঞ্চলটি সাধারণত ক্যান্ডেলস্টিকের সুতাগুলি ধারণ করে।

ফলস ব্রেক আউটঃ

রিয়েল টাইম চার্ট দেখার সময় অনেক সময় মনে হবে সাপোর্ট অথবা রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে গেছে কারণ আপনি দেখতে পাচ্ছেন, প্রাইজ সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভেদ করে নীচে বা উপরে চলে যাচ্ছে বা গেছে। অথচ কিছু সময় পরে চার্টের দিকে তাকালে দেখি, প্রাইজ ক্লোজ হয়েছে, সাপোর্ট (বা রেজিস্টেন্স)-এর উপরে (বা নীচে)। অর্থাৎ আসলে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স সত্যিকার অর্থে ভাঙ্গেনি। একে ফলস ব্রেক আউট বলে। অনেকেই এরকম ফলস ব্রেক আউটে ট্রেড নিয়ে বিপদে পড়েন। এই পরিস্থিতি বহুলাংশে (৮০% সময়) এড়ানো যাবে যদি ক্যান্ডেলস্টিক চার্টের সাথে সাথে আপনি লাইন চার্টে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লাইন গুলি হোল্ড করছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখেন। প্লিজ নোট করুন যে এটি খুব কাজে দেয়, এক সেকেন্ডের একটি ক্লিকে আপনি এটি দেখে নিতে পারেন। অথচ, ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট নিয়ে বেশীরভাগ ট্রেডারেরা এত ব্যস্ত থাকে যে এই সামান্য কাজটি করে 'লাইন চার্টে' সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হোল্ড করছে কিনা সেটা দেখতে ভুলে যায়।



তাহলে যখন ফলস ব্রেক আউট হয় তখন কি বুঝতে হবে? বুঝতে হবে যে, মার্কেট আসলে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স রিটেষ্ট করতে (ছুঁতে) আসছিল, ভাঙ্গতে (ব্রেক আউট) আসেনি। চিত্রে দেখুন।

কিভাবে বুঝবো সত্যিই সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে গেছে কিনা?

যদি পরপর দু'টি টাইম ফ্রেমে অর্থাৎ প্রথমে ১-ঘন্টা ও পরে ৪-ঘন্টায় প্রাইজ সাপোর্টের নীচে বা রেজিস্টেন্সের উপরে ক্লোজ হয়, তাহলে মনে করা যাবে যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে ব্রেক আউট হয়েছে। যারা লম্বা টাইম ফ্রেমে ট্রেড করেন অর্থাৎ সাধারনত যাদের ট্রেড সময়কাল ৭ দিন বা তার বেশী তাদের ১-ঘন্টা ও ৪-ঘন্টা সহ ডেইলি বারের ক্লোজ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ও ব্রেক আউট সম্পর্কে যেগুলি জানা থাকা ভালোঃ

যতবেশী বার প্রাইজ কোন সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাবে সেই সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স তত শক্তিশালী। অর্থাৎ ভাঙ্গা কঠিন। কিন্তু যদি ভাঙ্গে তাহলে তত তীব্র বেগে উপরে বা নীচে যাবে।
যখন প্রাইজ রেজিস্টেন্স ভাঙ্গে, তখন সেই রেজিস্টেন্স পরবর্তি লেভেলের জন্য সাপোর্ট হয়ে যায় (অনেকটা "দুই তালার ছাদের উপরই হচ্ছে তিন-তলার মেঝে"-এ রকম ব্যাপার)। তেমনি সাপোর্ট ভেঙ্গে নীচে নামলে সেটি পরের স্তরের রেজিস্টেন্স হয়ে যায়।
চিত্রটিতে মেজর (শক্তিশালী) ও মাইনর (তেমন শক্তিশালী নয়) সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স গুলি লক্ষ্য করুন। যেকোন চার্ট খুলে নিয়ে আপনি যদি কিছুটা প্রাক্টিস করেন তাহলে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স অঞ্চল গুলি সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন।

ট্রেন্ড লাইনঃ

ট্রেন্ড লাইন ঠিক মত আঁকতে পারলে সেটা অত্যন্ত কাজে দিতে পারে। কিন্তু বেশী ভাগ ট্রেডারই এই লাইন গুলি ঠিক মত আঁকতে চায় না। অথবা এমন ভাবে আঁকে যাতে লাইনটি মার্কেটকে ফিট করে (এটা আসলে আদারওয়ে হওয়া উচিত অর্থাৎ আপনি যেভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকা উচিত সেভাবে এঁকে রাখবেন। তারপর মার্কেট যেভাবে বিহেভ করছে সেটি লক্ষ করে আপনার ট্রেণ্ড লাইন হোল্ড করছে কিনা নির্ধারণ করে ট্রেড করবেন। প্রথমে জেনে নিই কিভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়ঃ

ঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটি হল, দুটি মেজর বটম (বা টপ) চিহ্নিত করা ও একটি লাইন দ্বারা যোগ করা।

প্রশ্নঃ তারপর কি করতে হবে?
উত্তরঃ আর কিছু করতে হবেনা।
প্রশ্নঃ এই সব?
উত্তরঃ জ্বী, এই সব। ট্রেণ্ড লাইন আঁকা আসলেই সহজ।
চিত্রটিতে আপট্রেন্ড, ডাউনট্রেন্ড ও সাইডওয়েজ (একেই রেঞ্জ বলে। রেঞ্জিং মানে প্রাইজ উপরে বা নীচে নির্দিষ্ট একটা রেঞ্জের মধ্যে ওঠা-নামা করছে) লক্ষ্য করুন। একটি আপট্রেন্ড লাইন সহজে চিহ্নিতযোগ্য হাইয়ার লো পয়েন্টগুলি বরাবর আঁকা হয়। একটি ডাউনট্রেন্ড লাইন সহজে চিহ্নিতযোগ্য রেজিস্টেন্স এলাকার চূড়া বরাবর আঁকা হয়।


ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে জেনে রাখা ভালঃ

একটি ট্রেন্ড বা প্রবণতা লাইন আঁকতে অন্তত দুটি টপ অথবা বটম পয়েন্টস লাগে কিন্ত ট্রেন্ডটি কনফার্ম করতে তিনটি পয়েন্ট দেখা প্রয়োজন।

ট্রেন্ড লাইন বেশী খাড়া (স্টিপ) হলে খুব সম্ভবত সেটি বেশিক্ষণ টিকবে না। অর্থাৎ সেটি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কোন কিছুই দীর্ঘ সময় ধরে স্টিপলি বাড়তে বা কমতে পারেনা।
 

যত বেশী বার ট্রেণ্ড লাইন টেষ্ট হবে অর্থাৎ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাবে কিন্তু ভাংবে না; ট্রেন্ড লাইনটি তত শক্তিশালী রূপে বিবেচিত হবে। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্সের ক্ষেত্রেও এটি সত্যি।

কখনো ফোর্স করে মার্কেটকে ফিট করতে ট্রেন্ড লাইন আঁকা যাবেনা। যে ট্রেন্ড লাইনটি এঁকেছেন, সেটি যদি নিয়ম মেনে আঁকা না হয়ে থাকে তাহলে সেটি ট্রেন্ড লাইনই নয়।

চ্যানেল


যদি আমরা এই ট্রেণ্ড (প্রবণতা) লাইন তত্ত্বটি একটি ধাপ আরও এগিয়ে নিয়ে আপট্রেন্ড (অথবা ডাউনট্রেন্ড) লাইনের সমান্তরাল (রেল লাইনের মত) আরেকটি লাইন আঁকতে পারি, তবে একটি চ্যানেল হবে। চিত্রটিতে উর্দ্ধমূখী চ্যানেল, নিম্নমূখী চ্যানেল ও আনুভূমিক চ্যানেল (রেঞ্জ) লক্ষ্য করুন। চ্যানেলে দুটি সমান্তরাল ট্রেন্ডলাইন থাকে। উর্দ্ধমূখী চ্যানেল আঁকতে প্রথমে আপট্রেন্ড লাইন আঁকবো (আশাকরি মনে আছে যে এর জন্য দু'টি লোয়ার হাই ভ্যালি পয়েন্টস লাগবে)। চ্যানেলের উপরের লাইনটি আঁকতে একটি পয়েন্টই যথেষ্ট। আর সে পয়েন্টটি হলো, যখন আঁকছেন, সে সময়ের সর্বাপেক্ষা সাম্প্রতিক পিক (টপ) বিন্দুটি। নিম্নমূখী চ্যানেল আঁকতে ঠিক এর বিপরীত কাজ গুলি করতে হবে। সাধারনতঃ মূল্য যখন চ্যনেলের বটম ট্রেন্ড লাইন স্পর্শ করে তখন বাই করা হয়, এবং মূল্য যখন চ্যানেলের উপরের ট্রেন্ড লাইন স্পর্শ করে তখন সেল করা হয়। মনে রাখবেন, উর্দ্ধমূখী চ্যানেলে সেল করার চেয়ে বাই করা নিরাপদ (অর্থাৎ মূল্য নীচের ট্রেন্ড লাইনের কাছাকাছি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে)। অপরপক্ষে, নিম্নমূখী চ্যানেলে বাই করার চেয়ে সেল করা নিরাপদ এবং তা করতে হবে প্রাইজ যখন উপরের ট্রেন্ড লাইনের কাছে যাবে বা ট্রেড লাইনটিকে স্পর্শ করবে।

লাইন এঁকে/দেখে ট্রেডিং করা

বেসিক শেখা হয়েছে। লাইন গুলো এখন আঁকতে পারা গেছে। এবার ট্রেডিং করার সময়। কখন, ট্রেড নেবেন? উত্তর হচ্ছে, ১- প্রাইজ কোন লাইন থেকে বাউন্স করলে অর্থাৎ ঠোক্কর খেয়ে আসলে অথবা ২- প্রাইজ কোন লাইন ক্লিয়ারলি ব্রেক করলে বা ভাঙ্গলে

১- বাউন্স

এই পদ্ধতিতে মূল্য সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স থেকে বাউন্স করলে ট্রেড এন্ট্রি নেয়া হয়। ঠিক সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স লাইনে ট্রেড নেওয়ার চেয়ে এখানে সুবিধা হলো যে, এটা জানা যাচ্ছে যে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স হোল্ড করছে (অর্থাৎ কিছুটা কনফার্মেশনের পরে যে, এ যাত্রায়ও সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স টিকে গেলো)। অবশ্য লাইন-এ কিনলে যে প্রাইজ়ে পাওয়া যেত, তার চেয়ে কিছুটা খারাপ প্রাইজে ট্রেড এন্ট্রি হবে। বাউন্স দেখে ট্রেড নিলে সেই প্রতিকূল সময়গুলি অতিক্রম করা যাবে যখন প্রাইজ খুব দ্রুত মুভ করে এবং একটানে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে চলে যায়। একচুয়ালি ফরেক্সে একটা প্রবাদই আছে- নেভার ট্রাই টু ক্যাচ আ ফলিং নাইফ (পড়ন্ত ছুরি ধরার চেষ্টা কোরনা)। প্রাইজ তীব্রবেগে নীচে যাওয়ার সময় সুস্থির না হওয়া পর্যন্ত বাই না করার উপদেশ দিতে এই প্রবাদ বলা হয়।

২- ব্রেক

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সবসময় কাজ করেনা (সব সময় কাজ করলে, সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্সে গেলেই আমরা সবাই বাই বা সেল করতে পারতাম ফলে কেউ আর গরীব থাকতো না। ইউনূস সাহেব গ্রামীন-ট্রামিন সব বাদ দিয়ে ফরেক্স ট্রেডিং-এ ব্যস্ত হয়ে পড়তেন)। বাস্তব হচ্ছে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভাঙ্গে এবং (অসতর্ক ট্রেডারদের বিপদে ফেলার জন্য) প্রায়শঃই ভাঙ্গে। অভিজ্ঞ ট্রেডাররা এই ব্রেককেই নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করতে পারে। তারা শুধু বাউন্স খেলে না, ব্রেক ও খেলে। দু'ভাবে ব্রেক খেলা যায়, ক) আক্রমনাত্মকভাবে খ) রক্ষণাত্মকভাবে

ক) আক্রমনাত্মক ব্রেক ট্রেড করাঃ বাই অথবা সেল করুন যখন সুনির্দিষ্টভাবে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভাঙ্গে। সুনির্দিষ্টতা নির্ধারণ করবেন কিভাবে? অন্ততঃ দু'টি টাইম ফ্রেমে (১-ঘন্টা ও ৪-ঘন্টা) প্রাইজ সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স-এর নীচে/উপরে ক্লোজ হতে হবে।

খ) রক্ষণাত্মকভাবে ব্রেক ট্রেড করাঃ এক্ষেত্রে প্রাইজ পূনরায় ব্রেক লেভেলের কাছে ফিরে আসার (রিট্রেস/পুলব্যাক করা) জন্য অপেক্ষা করবেন। তারপর যখন ব্রেক লেভেলে বাউন্স করে যাত্রা শুরু করবে তখন ট্রেড নেবেন। নোটঃ সবসময় মার্কেট ব্রেক লেভেল রিটেষ্ট করতে যায়না। মাঝে মাঝে এরকম হয় যে, প্রাইজ একদিকে যেতেই থাকে, যেতেই থাকে আর, বিপক্ষে ট্রেড নেয়া থাকলে, লস বাড়তেই থাকে। এইজন্য সবসময় একটা স্টপ লস থাকতে হয়। আপনি হয়তো আশা করে আছেন, প্রাইজ যখন ব্রকেন লেভেল রিটেস্ট করতে আসবে তখন আগের ট্রেড ক্লোজ করবেন। এরকম আশা অনেক সময় একাউন্ট শুণ্য করার কারণ হয়। প্রবাদই আছে, নেভার গেট ম্যারিড টু এ পার্টিকুলার ট্রেড।

চুম্বক অংশঃ

  • সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নয় এটি একটি রেঞ্জ
  • ফলস ব্রেক আউট এড়াতে সবসময় লাইন চার্টেও সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স দেখুন
  • ট্রেন্ড লাইন আঁকা অত্যন্ত সহজ কিন্তু নিয়ম মেনে ট্রেন্ড লাইন আঁকুন
  • দু'টি ট্রেডিং স্ট্রাটেজিঃ বাউন্স ও ব্রেক ট্রেড করা যেতে পারে

উপসংহারঃ
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ঠিক মত বুঝতে পারলে এবং বাউন্স ও ব্রেক ট্রেড করতে পারলে ট্রেডিং –এর অর্ধেক শেখা হয়ে গেল। অনেকটা ইংরেজি প্রবাদ ওয়েল বিগান ইজ হাফ ডান এর মত।

লেখাটি প্রস্তুত করেছেন চিফ ট্রেডার- বিডিএফএক্সগ্রুপ
 
(This write-up is prepared by the Chief Trader of BDFX Group. E-mail: bdfx.group@gmail.com 

Published in http://bdfxgroup.blogspot.com/    

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ লেখাটিতে বেবিপিপস ওয়েব সাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে।

Tuesday, August 16, 2011

ফ্রি সিগন্যাল

কিভাবে ফ্রি সিগন্যাল পেতে পারি - জানতে চেয়ে সম্প্রতি আমরা অনেক ই-মেইল পাচ্ছি। আমরা বেশ কিছুদিন যাবৎ এক মাসের জন্য ফ্রি সিগন্যাল পাঠাচ্ছিলাম অথচ জানতে পেরেছি, বিনামূল্যের এই সার্ভিসটিকে কেউ কেউ এবিউজ করছেন। যেমন একাধিক ই-মেইল খুলে মাসের পর মাস ফ্রি সিগন্যাল নিচ্ছেন। এছাড়াও সিগন্যাল গুলি পূনঃবিক্রয় করছেন। এই অনভিপ্রেত ঘটনাগুলি এড়াতে ফ্রি সিগন্যাল পাওয়ার পলিসিতে সামান্য রদবদল করতে হয়েছে। ফ্রি সিগন্যাল পেতে নিম্নলিখিত সহজ দু'টি কাজ করতে হবেঃ

- বিডিএফএক্স গ্রুপের এফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে একটি লাইভ একাউন্ট খুলতে হবে।  কিভাবে একাউন্ট খুলতে হবে বিস্তারিত এই লিঙ্ক থেকে জেনে নিন।

- একাউন্ট খোলার পর bdfx.group@gmail.com এই ঠিকানায় ই-মেইল করে আমাদের জানাতে হবে।

আপনার অনুমতি সাপেক্ষে আমরা সরাসরি আপনার একাউন্টে জুলুট্রেডের মাধ্যমে সিগন্যাল পাঠিয়ে দেবো। অর্থাৎ আমরা যে ট্রেডগুলি নেবো সেগুলি অটোম্যাটিক্যালি আপনার একাউন্টেও নেওয়া হবে। আমরা লাভ করলে আপনি লাভ করবেন; আমরা লস করলে আপনি লস করবেন। আমাদের সিগন্যালের পারফরম্যান্স দেখুনঃ

Friday, March 4, 2011

২০১১, সিগন্যাল পারফর্মান্স

টেবিলঃ সামারি

কিভাবে ফ্রি সিগন্যাল পেতে পারেন জানতে মেইল করুন bdfx.group@gmail.com

ট্রেড ০০১
 Trade id 001, Date 2011.03.01 Time 17:01 (GMT+৮), লিমিট বাই ইউরো/ইউএসডি মূল্য 1.377, ষ্টপ লস: 1.372, টেক প্রফিট: 1.399 কারণ: ফান্ডামেন্টাল(ইউএসডি সমস্ত মেজর কারেন্সির সাপেক্ষে দুর্বল হচ্ছে)। ট্রেণ্ডের পক্ষে।ফলাফলঃ +২২০ পিপ




ট্রেড ০০২
 Trade id 002, Date 2011.03.03 Time 19:29 (GMT+৮), লিমিট সেল ইউএসডি/ইয়েন মূল্য 82.2, ষ্টপ লস: 82.7, টেক প্রফিট: 80.5 কারণ: ট্রেণ্ডের পক্ষে। পূর্বের (সর্ট টার্ম) রেজিস্ট্যান্স পর্যন্ত রিট্রেস করলে সেল করতে চাইছি। ফলাফলঃ -৫০ পিপ
Trade id 003, Date 2011.03.03 Time 19:29 (GMT+৮), লিমিট সেল ইউএসডি/সুইস ফ্রা মূল্য 92.6, ষ্টপ লস: 93.1, টেক প্রফিট: 0.907 কারণ: ট্রেণ্ডের পক্ষে। সম্প্রতি সুইস ফ্রা ডলারের বিরুদ্ধে স্ট্রংলি ট্রেন্ডিং। পূর্বের (সর্ট টার্ম) রেজিস্ট্যান্স পর্যন্ত রিট্রেস করলে সেল করতে চাইছি। ফলাফলঃ -৫০ পিপ (Chart not included)

 
ট্রেড ০০৪
 Trade id 004, Date 2011.03.15 Time 07:20 (GMT+৮), লিমিট বাই ইউএসডি/সুইস ফ্রা মূল্য 0.921, ষ্টপ লস: 0.916, টেক প্রফিট: 0.936, কারণ: বটম অব রেঞ্জ. আশা করছি এই অঞ্চল থেকে ইউএসডি/সুইস ফ্রা উপরের দিকে যাবে। ফলাফলঃ -৫০ পিপ। মন্তব্যঃ জাপানে ভূমিকম্প ও তেজস্ক্রিয়তা, লিবিয়ায় গাদ্দাফির জনগণের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ, গাদ্দাফির বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের সামরিক অভিযানের অনুমোদন, সৌদিআরবে রাজা-বিরোধী বিক্ষোভ এসব কিছু 'রিস্ক এভারসন' বা "ঝুঁকি নিতে অনীহা" অবস্থাকে উৎসাহিত করে। রিস্ক এভারসন সেফ হেভেন কারেন্সিগুলি হলো, ইউএসডি, ইয়েন, ও সুইস ফ্রাঁ। ডলারের প্রতি বেশ কিছু মাস মানুষের আগ্রহ কমে গেছে (আমেরিকা (ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাঙ্ক) সমানে ডলার ছাপাচ্ছে (একে কোয়ান্টেটিভ ইজিং বলে)। ইয়েন কিনতে ভয় হলো, ৮০ ইয়েনের কমে ডলার কেনা গেলে ব্যাঙ্ক অব জাপান ইন্টারভিন করতে পারে। একমাত্র সেফ হেভেন কারেন্সি রইলো সুইস ফ্রাঁ। সুইস ফ্রাঁ বেশ কিছু মাস একারণেই শক্তিশালী হয়েছে। সুইজারল্যান্ড ভেরি স্টেবল কান্ট্রি কিন্তু এর ইকোনমি খুব বড় নয়। সুইস ফ্রাঁর দাম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়তে পারেনা। ট্রেণ্ড ঘোরার লক্ষণ দেখলে আমরা সুইস ফ্রাঁর বিরুদ্ধে একটি পজিশন ট্রেড নেবো। পজিশন ট্রেড লং টার্মের জন্য হয়, অন্তত ৩ মাস থাকবে, স্টপ লস ~২০০ পিপ কিন্তু টেক প্রফিট অনেক বেশী, অন্তত পক্ষে ১০০০ পিপ হবে)।

Trade id 005, Date 2011.03.15 Time 21:45 (GMT+৮), লিমিট বাই ইউএসডি/ইয়েন মূল্য 80.6, ষ্টপ লস: 80.1, টেক প্রফিট: 82.2, কারণ: আগের বটম (মেঝে)। ফলাফলঃ -৫০ পিপ। (Chart not included)। মন্তব্যঃ জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও পারমাণবিক চুল্লির তেজস্ক্রিয়তা জাপানের ইকোনমিকে আঘাত করেছে। শেয়ার মার্কেট ফল করেছে, ইয়েন 'রিস্ক এভারসন' কারেন্সি হওয়ায়, জাপানের শেয়ার মার্কেট বা ইকনমি ফল করলে ইয়েনের দাম বাড়ে (ফাণ্ডামেন্টালের বিপরীত ধর্ম)। ব্যাঙ্ক অব জাপান ১৮ মার্চ ইয়েন দুর্বল করার জন্য মার্কেটে ইন্টারভিন করে অর্থাৎ প্রচুর ইয়েন বিক্রি করে দিয়ে ইয়েনের মূল্য বেশ খানিকটা কমিয়ে দেয় (প্রায় চার শ পিপ)।

Monday, August 30, 2010

কিন্ডারগার্টেন-১


ফরেক্স কি?

ফরেক্স হলো ফরেন এক্সচেঞ্জ। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মার্কেট। এখানে প্রতিদিন ৪ ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন এ ১ ট্রিলিয়ন) ডলারের অধিক লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয়না। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একদিনের গড় লেনদেন ৩০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু মার্কেটটি এত বড়, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রও এককভাবে সহজে একে নিয়ন্ত্রিত করতে পারেনা।

ফরেক্স ট্রেড করতে কি কি দরকার?
(দ্রুত) ইন্টারনেট কানেকশন সহ একটি কম্পিউটার ও প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ডলারের মত পুঁজি।

১০০০ ডলার দিয়ে শুরু করলেও লেভারেজের কারণে কেনাবেচা করা যাবে অনেক বেশী পরিমাণের। বেশীরভাগ ব্রকারই ১:২০০ লেভারেজ দেয় অর্থাৎ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে ২০০,০০০ (দুলাখ) ডলার পর্যন্ত কেনাবেচা করা যাবে। মনেরাখা দরকার, লেভারেজ আপনার পক্ষে কাজ করতে পারে আবার বিপক্ষেও কাজ করতে পারে। উদাহরণঃ মনে করুণ আপনি ২ লাখ EUR/USD কিনলেন। এখন এই ট্রেড যদি পক্ষে যায়, অর্থাৎ ইউরোর দাম যদি ডলারের সাপেক্ষে বাড়তে থাকে তাহলে প্রতি পিপে আপনি ২০ ডলার করে লাভ করছেন এবং ৫০ পিপ বাড়লে আপনার ১০০০ ডলার লাভ হবে। তেমনি ৫০ পিপ যদি ইউরোর দাম কমে অর্থাৎ ট্রেড যদি আপনার বিপক্ষে যায় তাহলে একাউন্ট শূণ্য হয়ে যাবে।

এখানে আমরা তিনটি নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছি, ব্রকার, লেভারেজ ও পিপ। এগুলি আসলে কি?

ব্রকারঃ

যে কোম্পানির সাথে আপনি একাউণ্ট খুলবেন অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি কারেন্সি মার্কেটে লেনদেন করবেন তাকে ব্রকার বলে। অনেক ব্রকার আছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে একটিকে বেছে নিতে হবে। তবে ভাল ব্রকার বাছাই করা সহজ নয়। এ ব্যাপারে পরে ব্রকার সম্পর্কে যখন আলোচনা করবো তখন দেখবো কিভাবে ও কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে ভাল ব্রকার বাছাই করা যায়।

লেভারেজঃ

যে পরিমাণ ডলার আছে তার চেয়ে বেশী পরিমাণের কেনা বেচার সুযোগকে লেভারেজ বলে। উদাঃ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে যদি ২০০০ ডলারের ট্রেড করতে দেয় তাহলে লেভারেজ ১:২, যদি ১ লাখের ট্রেড করার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে লেভারেজ ১:১০০ (পড়ুন ১ এর জন্য ১০০)।

পিপঃ

কারেন্সিতে সবচেয়ে ছোট পরিবর্তনের ইউনিটের নাম পিপ। ১০০ সেন্ট (পয়সা) এ যেরকম ১ ডলার (টাকা) হয় সেরকম ১০০ পিপে ১ সেন্ট (পয়সা) হয়। এটি ক্ষুদ্র ইউনিট কিন্তু যখন কেনা বেচার পরিমাণ অনেক হয় তখন এই সামান্য পরিবর্তন ডলারের হিসেবে অনেক হয়। উদাঃ টাকায় ১ পিপ বৃদ্ধি পেলে ১ টাকায় লাভ হয় ১ পয়সার ১০০ ভাগের এক ভাগ কিন্তু ১ লটে (১ লাখ টাকায়) লাভ হয় ১০ টাকা। মনে করুণ EUR/USD 1.3050 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 1.3051 হল, তাহলে EUR/USD এর দাম ১ পিপ বৃদ্ধি পেল।

Sunday, August 22, 2010

বিডিএফএক্স গ্রুপ (BDFX Group)

চিত্র ১ ফরেক্স জগতে বাংলাভাষীদের পদচিহ্নের লক্ষ্যে।
বিডি এফএক্স গ্রুপে (BD for Bangladesh, FX for Forex) স্বাগতম। বাংলাভাষী ফরেক্সে আগ্রহীদের জন্য এটি নিবেদিত। এখানেঃ
১.ফরেক্স শেখা যাবে
২.ফরেক্স সিগনাল পাওয়া যাবে
৩.ফরেক্স বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত হবে

কাদের জন্য?
১. দেশের বাইরে (ও ভিতরে) যাদের হাতে কিছু সময় আছে অথচ ফুল টাইম কোন কাজ করেন না। অথবা,
২. যাদের ফুলটাইম জব আছে কিন্তু আরো কিছু টাকা আয় করা প্রয়োজন। অথবা,
৩. যারা শুধুমাত্র শেখার আনন্দে শিখতে চান। অথবা,
৪. অঙ্কে আগ্রহ আছে এবং ফিবোনাচ্চি, এলিয়ট এদের থিওরি কিভাবে অঙ্ক ও হিউম্যান সাইকোলজির সাথে সম্পর্কযুক্ত ও টাকা উপার্জন করতে সাহায্য করতে পারে সেসব জানতে ও পরীক্ষা করে দেখতে আগ্রহী।